অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যায় তিনজনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ

0
.

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যা মামলায় তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন কামরুল হোসেন (৩০)। কামরুল টিলারগাঁওয়ের গোলাপ মিয়ার ছেলে। তিনি আশপাশের এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপর বেলা ১১টায় অভিযুক্ত কামরুলকে সাথে নিয়ে টিলারগাঁও এলাকায় তার বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় কামরুলের ঘরের সানসেটের ভেতর থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র (চাকু) ও নিহত বুলবুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা জোর তদন্তে নামি। তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহজনক তিন আসামিকে গ্রেফতার করি। তার মধ্যে একজন খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরো দুজন জড়িত থাকার তথ্য দেন। এই তিনজনকে ব্যাপকভাবে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই।

আজবাহার আলী বলেন, গ্রেফতার কামরুলকে নিয়ে তার বাড়িতে এলে তার দেখানো মতে বুলবুলের মোবাইলফোন উদ্ধার ও খুনে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে কেন বুলবুলকে হত্যা করেছে, তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল, মূল মোটিভ ছিল কী, আরো কেউ জড়িত কিনা, কার সম্পৃক্ততা কতটুকু বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে।

গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের টিলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: বুলবুল আহমেদ (২২)। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়।

এ ঘটনার পর সোমবার রাতে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।