অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হত্যা মামলায় সাজার রায় শুনে আ.লীগ নেতার মৃত্যু!

0
.

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণার পর মারা গেলেন সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার।

গত সোমবার (২৭ জুন) কৃষক জেলহক হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় রাজ্জাক মাস্টার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

রায়ের দুই দিন পর বুধবার (২৯ জুন) সকালে উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের শালগ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার একই ইউনিয়নের বারইমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

রাজ্জাক মাস্টারের বড় ছেলে লেবু সরকার জানান, তার বাবা তিন মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত এক মাস তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তার বাবা স্বাভাবিক খাবারও খেতে পারেননি।

বুধবার বাদ যোহর পর শালগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে তার বাবার প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন জাতীয় সংসদের সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়সহ কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, কাজিপুর উপজেলার মাজনাবাড়ি গ্রামের জেলহক মণ্ডলের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ১৯৯৬ সালের ১৭ মার্চ বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে যায় আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার ও তার লোকজন। ধানকাটার সংবাদ পেয়ে জেলহকের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রাজ্জাক মাস্টারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় জেলহক মণ্ডল ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুর রহিম ৩৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অবশেষে সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে কৃষক জেলহক হত্যার দায়ে আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাজনাবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার, আব্দুস সাত্তার, শফিকুল ইসলাম, শালগ্রামের সুরুত আলী, হায়দার আলী, আমজাদ হোসেন ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ির মনির হোসেন।