অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাংলাদেশ এখন অকল্পনীয় উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করেছে-চবিতে অর্থমন্ত্রী

1
.

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের সকল সূচকে বাংলাদেশ এখন অকল্পনীয় উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স বিভাগের সিলভার জুবিলী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ‘Finance for Sustainable Growth and Development’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।

আন্তর্জাতিক এ সেমিনার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি মানবিক মিশন-ভিশন ধারণ করে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

এ মহান নেতার অন্যতম লক্ষ্য ছিল নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন। বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস ও ত্যাগ স্মরণ করে তিনি বলেন, তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ পরিক্রমায় বিভিন্ন ইতিবাচক-নেতিবাচক বিষয়াদি আলোকপাত করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে অবৈধ ক্ষমতা দখলদার, মৌলবাদ, জঙ্গি-সন্ত্রাস সহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথে বাধা সৃষ্টি করেছে।

মন্ত্রী আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে বলেন, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব হবে। মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আর্থিক মুক্তি অর্জনে ব্যবসা-বাণিজ্যের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রন, সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার, ব্যয় সংকোচন, সঞ্চয়ী বিনিয়োগ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদিসহ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়ানোর আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফজলে কবীর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থসচিব মোহাম্মদ মোসলেম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব।

চ.বি. ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এবং উক্ত বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আকতার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স আয়োজন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর।

এর আগে মন্ত্রী চ.বি. বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপাচার্যকে সাথে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অর্থমন্ত্রীকে চ.বি. বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।

উপাচার্য তাঁর ভাষণে মহাকালের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে নেতৃত্বদানকারী সফল মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত এম.পি.কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাঙালি বীরের জাতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম-আন্দোলন সর্বোপরি একটি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ জাতি বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন ও সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিশেষ উচ্চতায় মর্যাদাসীন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আজকের আন্তর্জাতিক সেমিনার বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে মাননীয় উপাচার্য এ সেমিনারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরফজলে কবীর বলেন, ১৯৭১ এর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ এবং বর্তমান বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা ও মানবউন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বিশ্বায়নের এ সময়ে টেকসই প্রবৃদ্ধি উন্নয়নে তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাসহ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

অর্থসচিব মোহাম্মদ মোসলেম চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে এবং তরুণ সমাজকে এতে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভূমিকা পালনের মাধ্যমে এ প্রচেষ্টাকে সার্থক করতে হবে।

আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিজনেস সেসনে দেশ-বিদেশ থেকে আগত বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-গবেষক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ডিনবৃন্দ, চ.বি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চ.বি.র রেজিস্ট্রার, প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ, অফিসার সমিতি, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

১ টি মন্তব্য
  1. রফিকুল আলম বলেছেন

    টাকা লুটপাটে