অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লাইটারেজ জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সময়সীমা পুনঃনির্ধারণের আহবান

0
.

চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটারেজ জাহাজ থেকে পণ্য লোডিং আনলোডিং নির্বিঘ্নে রাখার লক্ষ্যে পণ্য খালাসের সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ স্থগিত করে পূর্বের ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি’র প্রতি আহবান জানিয়েছেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বুধবার (৭ মার্চ) এক পত্রে তিনি বলেন- গত জানুয়ারীতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় লাইটারেজ জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। ১২০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতার জাহাজের সেকেন্ড ট্রিপ ২০ দিনের পরিবর্তে ১২ দিন, ১২০১-১৮০০ মেট্রিক টন ২০ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন, ১৮০১-২৪০০ মেট্রিক টন ২৪ দিনের পরিবর্তে ১৬ দিন এবং ২৪০১ টন বা তার বেশী ক্ষমতার জাহাজের সেকেন্ড ট্রিপ বর্তমান ২৮ দিনের পরিবর্তে ২০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে সময়সীমা পার হওয়ার সাথে সাথে সেকেন্ড ট্রিপ এবং পর্যায়ক্রমে থার্ড ট্রিপ গণনা শুরু হয়ে যাবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ডেমারেজের কারণে আমদানি ব্যয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে যার দায়ভার শেষ পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণকে বহন করতে হবে এবং এ সেক্টরে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে লাইটারেজ জাহাজ বরাদ্দকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি)’র সাথে আমদানিকারকদের সম্পাদিত চুক্তিনামায় ফ্রি টাইম, ডেমারেজ চার্জ, সেকেন্ড ট্রিপ, থার্ড ট্রিপ ইত্যাদি উল্লেখ থাকায় নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংকট সৃষ্টি হবে। দেশে চাল, গম, লবণ, ডাল, চিনি, সার, কয়লা, পাথর ইত্যাদি আমদানি বৃদ্ধি পেলেও খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় লাইটারেজ জাহাজ, জেটি ও অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কোন ঘাট তৈরী করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে যেমনঃ নয়াপাড়া, গাবতলী, কাঁচপুর ইত্যাদিতে অত্যাধুনিক সুবিধা না থাকার কারণে লেবার দিয়ে দৈনিক ২০০ টনের বেশী মাল খালাস করা সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে ১১ দিনের মধ্যে আনলোডিং শেষ করা কোনমতেই সম্ভবপর নয়। তাই লাইটারেজ থেকে মাল খালাসের সময়সীমা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখতে হবে বলে জানান মাহবুবুল আলম।

এছাড়া দু’বছরের বেশী সময় লাইটারেজ জাহাজ তৈরী বন্ধ থাকার কারণে জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি না পেলেও আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। তাই সংকট লাঘবে বিদেশ থেকে লাইটারেজ আমদানি অথবা ভাড়ায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইটারেজ নির্মাণ করতে হবে বলে চেম্বার সভাপতি অভিমত ব্যক্ত করেন।