অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বন্দর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চাইলে যুক্তরাস্ট্র সহযোগিতা করবে

0
.

আমেরিকান দূতাবাসের চ্যার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স জোল রাইফম্যান বলেছেন, যুক্তরাস্ট্রের প্রায় সব ব্যবসায়িক কোম্পানী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অবকাঠামো খাতে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করতে হবে।

তিনি আজ বুধবার দুপুরে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এবং আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ যৌথ আয়োজনে “ইউএস-বাংলাদেশ বাইল্যাটার‌্যাল ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট রিলেশন্স” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত  গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব বরেন চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

বৈঠকে জোল রাইফম্যান বলেন, চিটাগাং চেম্বার বাংলাদেশের ১ম বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপন করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাস্ট্রের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাস্ট্রে প্রায় ৬.৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে।

যুক্তরাস্ট্রের প্রায় সব ব্যবসায়িক কোম্পানী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে উল্লেখ্য করে এ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অবকাঠামো খাতে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। রাইফম্যান  বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো আধুনিকায়ন করা এখন সময়ের দাবী। এ বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাস্ট্র চাইলে সহযোগিতা করবে।

চট্টগ্রাম চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। বাংলাদেশ শ্রম শক্তিতে অনেক দক্ষতা অর্জন করেছে। চীনের পরে বাংলাদেশ তৈরী পোশাক রপ্তানিতে এখন এগিয়ে। চট্টগ্রাম বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চেম্বার সভাপতি মিরসরাই ও আনোয়ারা ইকনোমিক জোনে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে চ্যার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সকে সে দেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আহবান জানান। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিনিয়োগ চুক্তি ও দ্বৈত কর অবকাশ চুক্তির আওতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্য আয়ের দেশে উপনীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন,  চীনের পরে বাংলাদেশ তৈরী পোশাক রপ্তানিতে এখন এগিয়ে। চট্টগ্রাম বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মিরসরাই ও আনোয়ারা ইকনোমিক জোনে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করার আহবান জানান।

বৈঠকে চিটাগাং চেম্বার ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ জামাল আহমেদ, আমেরিকান দূতাবাসের ইকনোমিক এবং কমার্শিয়াল অফিসার এডওয়ার্ডো গার্সিয়া, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত আলী সরকার, চেম্বার পরিচালকদ্বয় অঞ্জন শেখর দাশ ও মোঃ জাহেদুল হক, প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি এম. এ. ছালাম, সদ্যবিদায়ী পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, জাপানের অনারারী কনস্যুল জেনারেল মোঃ নুরুল ইসলাম, চিটাগাং ওম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহ-সভাপতি মুনাল মাহবুব, ব্যবসায়ী নেতা তাহের সোবহান, জুনিয়র চেম্বারের সাবেক সভাপতি জসিম আহমেদ ও কেডিএস স্টীল’র জিএম ইমরান আবু হাসান বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোঃ জহুরুল আলম, সরওয়ার হাসান জামিল, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), মোঃ শাহরিয়ার জাহান, মুজিবুর রহমান ও মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল, এ্যামচেম’র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মোঃ শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনস্যুল মোঃ সোলায়মান আলম শেঠ, রাশিয়ান কনসূলেট’র ভি. জাকারভ, দূতাবাসের কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট সৈয়দা শাহরাজাদ রহমান, বিকেএমইএ’র সাবেক পরিচালক শওকত ওসমান ও এইচআরসি’র সিনিয়র ডাইরেক্টর কে.আর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।