অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

টেকনাফ স্থলবন্দরে ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয়

0
.

দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ কোটি ২৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা বেশী রাজস্ব আয় হয়েছে। গত অর্থ বছরে ৭২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড রাজস্ব আদায় বলে জানাগেছে।

সুত্রে জানা যায়,২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ববোর্ড (এনবিআর) টেকনাফ স্থলবন্দরকে ৭২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।

টেকনাফ কাস্টমস খাতে ৯৩ কোটি ৫৮লাখ ১৪ হাজার এবং অগ্রিম আয়করসহ অন্যান্য খাতে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ১৭হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১১৫ কোটি ৪৭লাখ ৩১ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ কোটি ২৫লাখ ১৪হাজার টাকা। যার শতকরা ২৩% বেশি। গত ২০১৫-১৬ইং অর্থবছরে টেকনাফ স্থলবন্দরে ৭১ কোটি ২৯লাখ ৫ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিল।

.

এব্যাপারে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা এএসএম মোশারফ হোসেন জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের নির্দেশনায় স্থানীয় প্রশাসন আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী রাজস্ব আয় সম্ভব হয়েছে। স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর হতে এটিই সর্বোচ্চ বেশী রাজস্ব আয় বলে জানান তিনি।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনে সাধারণ স¤পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের পণ্য চোরাচালান কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসাই অতিরিক্ত এই রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় সম্ভব হয়েছে।

প্রসংগত, ১৯৯৫সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সরকার উভয় দেশের সীমান্ত পয়েন্টে চোরাচালান নিরুৎসাহিত করতে টেকনাফ স্থলবন্দর চালু করেন। যা সরকারী রাজস্ব আদায়ে বিরাট ভুমিকা রাখছে।