অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করলো বাংলাদেশ

0
.

আশা জাগিয়েও পারল না বাংলাদেশ। ‘ফেভারিট’ আফগানিস্তানই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নিলো। ‘দুই জাদরান’ ইব্রাহিম এবং নাজিবুল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের তুচ্ছ করে জয় তুলে নিলো আফগানিস্তান। মোসাদ্দেক হোসেনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৯ বল আগেই জয় নিশ্চিত করলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারানোর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়। সবার আগে সুপার পোর নিশ্চিত করলো দলটি।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) শারজার ফ্ল্যাট উইকেটে টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এর মধ্য দিয়ে তিনি তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টিতে খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন। রশিদ খান কিংবা মুজিব উর রহমানদের ঘূর্ণির বিপক্ষে রান তাড়ার ঝুঁকিতে যেতে চাননি অধিনায়ক।

সেই প্রতিদান দিতে পারেননি দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ-এনামুল হক বিজয়। ৪ ওভারে দলীয় রান ১৩ না হতেই ফেরেন ২ জন। নাভিন উল হককে ২ চার মেরে সাকিব ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়ে মুজিবের বলে বোল্ড হন ৯ রানে। মুশফিক আউট হন মাত্র ১ রানে, আফিফ পাঁচে নেমে ১৫ বলে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ত্রাতা মোসাদ্দেক হোসেন। ২ রানে আউট হতে পারতেন নবীর বলে। উল্টো সেটি ছয় হয়ে যায়। পুনর্জন্মে যেন তেঁতে ওঠেন মোসাদ্দেক। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ে ৩১ বলে ৩৬ রান যোগ করেন। ২৬ বলে ২৫ করে মাহমুদউল্লাহ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। বিপদে দলের হাল ধরলেও মাহমুদউল্লাহ রান বাড়ানোর সময় ফেরেন সাজঘরে। মোসাদ্দেক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪১ বলে ৪৮ রান করে। এর আগে তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৩৪। বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ৭ উইকেটে ১২৭।

আফগানদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন দলের দুই স্পিনার রশিদ-মুজিব। রান আউট হন শেখ মেহেদী।

বোলিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই আসেন সাকিব। শুরুটাও হয় দারুণ। সাকিবের করা দলীয় তৃতীয় ওভারে লং অনে অল্পের জন্য মাহমুদউল্লাহর হাতে বেঁচে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। পঞ্চম ওভারে ১১ রানে সাকিবের শিকার হয়ে ফেরেন সেই গুরবাজ। আঁটসাট বোলিংয়ে সাকিব-মেহেদী-মোসাদ্দেকরা চাপে রাখেন আফগান ব্যাটসম্যানদের। আরেক ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাইকে মোসাদ্দেক ফেরান ২৩ রানে। ১৪ ওভার পর্যন্ত আফগানদের রান রেট ছিল পাঁচের নিচে।

১৫তম ওভারে তাসকিনকে ২ চার মেরে যেন খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসার আভাস দেন তিনে নেমে এক প্রান্তে আগলে রাখা ইব্রাহিম জাদরান। প্রতি ওভারে দশের বেশি করে রান প্রয়োজন হলেও নবীর আউটের পর ক্রিজে আসা নাজিব্বুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে সেটি মামুলি হয়ে যায়। ২ ছয়ের মারে মোস্তাফিজের করা ১৭তম ওভারে নেন ১৭ রান। পরের ওভারে সাইফউদ্দিন ২ ছয় ২ চারে দেন ২২ রান। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন হয় ৪ রান, কিন্তু মোসাদ্দেকের করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলেই ছয় হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নাজিবুল্লাহ।

দুই জাদরানের জুটি থেকে আসে ৩৩ বলে ৬৯ রান। শেষ দিকে তারা তাণ্ডব চালান। তার মধ্যে নাজিবুল্লাহ একাই ১৭ বলে করেন ৪৩ রান। ৪২ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইব্রাহিম। দুজন যেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং কিভাবে করতে হয় সেটি শেখালেন বাংলাদেশকে। কখন থামতে হয়, কখন ধীরে চলতে হয় আর কখন ব্যাট চালাতে হয় তরবারির মতো সেটি যেন বেশ ভালোই বোঝেন আফগানরা।