অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভারতের অবস্থান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে

0
.

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জনগণের প্রত্যাশার পক্ষে অবস্থান ভারতের। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী নয়াদিল্লিতে সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রতিনিধিদলকে গতকাল শনিবার এ কথা জানান।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘অনন্য’ উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। দুই দেশ মিলে একসঙ্গে বিশ্বের ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস উদযাপন করেছে।

এ ছাড়া দুই দেশ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে। এগুলো অনন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও এর মাত্রার প্রতিফলন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ব্যাপকভাবে বদলেছে ও এগিয়েছে। ২০ বছর আগে এমন ছিল না। বিনিয়োগ, কানেক্টিভিটি  (যোগাযোগ), বাণিজ্য, সাধারণ মানুষে মানুষে যোগাযোগ অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ সব দেশের সঙ্গে ভারত সরকার ‘কানেক্টিভিটি’ বৃদ্ধিতে জোর দিতে চায়।

মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, গণতন্ত্র, সমাজে সম্প্রীতির প্রশংসা করে ভারত। মাথাপিছু জিডিপিসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্যের গল্প। গত কয়েক মাসে মানুষের চলাচল বেড়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, “বর্তমান সরকারের ব্যাপক জনসমর্থন আছে। তারা সম্ভবত ‘ফ্রন্টরানার’। কিন্তু নির্বাচন নির্বাচনই। ” তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশে এটি নেই। ’

মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থাকুক। আমরা সব সময় একে সমর্থন করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টি বাংলাদেশের। আমরা চাই না, আমাদের দেশ নিয়ে কেউ কিছু বলুক। তেমনি আমরাও অন্য দেশের বিষয়ে বলতে চাই না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সময়ে দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হয়েছে। এটি পারস্পরিক স্বার্থে হয়েছে। ’

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান বিষয়ে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘আমরা চাই, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি স্বাভাবিক স্থিতিশীল হোক। ’