অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহতের পরিচয় শনাক্তে চলছে স্বজনদের ডিএন টেস্ট

0
পিতার লাশ খুঁজে পেতে ডিএনএ টেস্ট দিল এই অবুঝ শিশু।

জেলার সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার (৬ জুন) সকাল থেকে স্থাপন করা অস্থায়ী বুথে ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেখানে নিহতের স্বজনরা তাদের নমুনা দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জেলা প্রশাসনে সহায়তা সেলের পাশে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এ বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানায়, ঢাকা থেকে আসা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষজ্ঞ দল সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ও বিস্ফোরণে নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছেন।

সরেজিমনে দেখা যায়, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বুথ করা হয়েছে। সেখানে বসেই স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করছেন সিআইডি বিশেষজ্ঞেরা।

নিহতদের স্বজনেরা পুলিশের সহায়তায় ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা দিচ্ছেন। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর পরিচয় শনাক্ত হলে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানান, মোট ৪১টি মরদেহ চমেক হাসপাতাল আনা হয়েছিল। এরই মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ১৮ জন লাশের পরিচয় নিশ্চিতকরণের জন্য স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান জানিয়েছেন, দাফন-কাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং আর আহতদের প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। নিহতদের মাঝে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের মাঝে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত ১২ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অনেক মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই নিহতদের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে।