অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আজ পবিত্র শবে বরাত

0
.

যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ শুক্রবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতকে ভাগ্যরজনী বলা হয়ে থাকে।

এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শবে বরাতে মহান আল্লাহ ও তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নফল রোজা, দান সদকা ও এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।

হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধশাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।

শাবান মাস শেষে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বার্তা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান।

গত ৫ মার্চ থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হয়েছে।

এদিকে পবিত্র শবে বরাতের রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, পবিত্র শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শবে বরাত উদযাপন নিশ্চিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স এর ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৯ মার্চ ভোর ৬টা পর্যন্ত বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার বাদ মাগরিব ও বাদ এশা এবং ১৯ মার্চ রাত ২টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ‘পবিত্র শবে বরাত-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সব ধর্মপ্রাণ মুসল্লিকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।