অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিশ্বকাপ ফুটবল: বাংলাদেশ থেকে গেল ফিফার ৬ লাখ পিস টি-শার্ট

0
.

আগামী নভেম্বর কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। প্রায় মাসজুড়ে উৎসবে ভাসবে দেশটির মানুষ। সেই উৎসবের ঢেউ স্পর্শ করবে দুনিয়ার তাবৎ ফুটবল প্রেমীদের। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করতে না পারলেও বাংলাদেশের তৈরি টি-শার্ট পড়বে ফুটবল ভক্তরা।

চট্টগ্রামের সনেট টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ফিফার লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছে টি-শার্টগুলো। প্রায় ছয় লাখ টি-শার্ট বানিয়ে রপ্তানি করেছে চট্টগ্রামের এ পোষাক কারখানা।যার রফতানি মূল্য প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৩ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্ট, জ্যাকেটও তৈরি করেছিল।

.

জানা গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলে পোশাকপণ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজক সংস্থা ফিফা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানকে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ নানা সরঞ্জাম তৈরির কার্যাদেশ দেয়। কাতার বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের মতো ফিফার লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার একটি বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল লিমিটেডকে ছয় লাখ টি-শার্ট বানানোর কার্যাদেশ দিয়েছিল।

ফিফার অফিশিয়াল টিশার্ট তৈরীতে কঠোর সব শর্ত মানতে হয়। সেইসব শর্ত পূরণ করে দিনরাত কাজ করছেন বাংলাদেশী পোষাক শ্রমিকরা। এটি তাদের পেশাগত কাজ হলেও বর্তমান উৎপাদনে বাড়তি আনন্দ আছে বলে জানান শ্রমিকরা। ইতোমধ্যে অর্ধেক শার্ট রপ্তানী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ফিফার লাইসেন্সে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পণ্য তৈরি করে নিয়ে যায়। আমাদের রাশিয়ান ক্রেতাও ফিফা থেকে লাইসেন্স নিয়ে প্রায় ছয়লাখ টি-শার্ট তৈরির অর্ডার দিয়েছিল। তারা যে ডিজাইন দিয়েছিল সেই অনুযায়ী আমরা টি-শার্টগুলো তৈরি করে দিয়েছি। এগুলো রাশিয়া নিয়ে যাবে। সেখানে তারা তাদের স্টলে সেগুলো বিক্রি করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ছয়লাখ পিসের অর্ডার পেয়েছিলাম। তিন লাখ পিস টি-শার্ট গত সপ্তাহে শিপিং করা হয়েছে। আরও তিন লাখ টি-শার্ট ২৫ নভেম্বর শিপিং করেছি।

নিট পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এর আগেও আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্টও রপ্তানি করেছিলাম। তিনি বলেন, আমারা নিয়মিতই পোশাক রপ্তানি করি। তবে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া বড় একটি ইভেন্টের টি-শার্ট তৈরি করতে পেরে ভালো লেগেছে। কেননা এর সঙ্গে দেশের ইমেজ জড়িত।

সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষে ফিফার অনুমোদনের পর এ বছরের শুরু থেকে টি-শার্ট উৎপাদন শুরু করি। আমাদের প্রত্যাশা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জার্সি তৈরি করা।