অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরি করেন মধু, স্ত্রী করেন ঝিয়ের কাজ

0
.

রণাঙ্গনের তেজোদীপ্ত যোদ্ধা ছিলেন তিনি। পাকিস্তানি সৈন্য আর রাজাকার খতম করে বিশেষ খ্যাতিও কুড়িয়েছিলেন সহযোদ্ধাদের কাছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনসমর্থন আর যোদ্ধা সংগ্রহের সহাসিকতা দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষকে উৎসাহিত করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে। মানুষের মুখে মুখে এখনো তিনি সমধিক পরিচিত ‘আনোয়ার কমান্ডার’ নামে।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নানা স্বীকৃতি ও সচ্ছলতা ফিরে আসা এবং ভুয়া ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা বনে যাওয়া দেশে পাকিস্তানি বাহিনীকে হটানো সেই যোদ্ধার ভাগ্যে জোটেনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিটুকুও। বরং অবহেলা, বারবার কারাবরণ আর প্রতারিত হতে হতে ক্লান্ত ৮৮ বছর বয়সী এই মানুষটি।

জীবনসায়াহ্নে এসে সংসার চালানোর মতো দায়িত্বও এখনো তার কাঁধে। স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়লেও রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়ায়নি এক দিনের জন্যও। ফলে অভাব-অনটনের সঙ্গে লড়াই করে চলা বয়সের ভারে ন্যুব্জ মানুষটি রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে মধু বিক্রি করে টানছেন সংসারের ঘানি। একার আয়ে সংসার না চলায় তার স্ত্রী অন্যের বাসায় করেন ঝিয়ের কাজ।

.

কোনো অর্থ-বিত্ত নয়, জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিটুকু চান আনোয়ার হোসেন আনু। রণাঙ্গনের এই যোদ্ধা জানান, তার মতো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে আজও স্বীকৃতি না দেওয়া জাতিগত লজ্জা। অথচ বরিশাল জেলায় ৮০ ব্যক্তি রয়েছেন, যারা ভুয়া কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাগিয়ে নিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন বরিশাল নগরীর আলেকান্দা আমতলা এলাকার মৃত খালেক খান ও ফাতেমা বেগমের সন্তান। ১৯৬১ সালে (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) ইপিআরে যোগ দেন। ১০ বছর সেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজও করেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি হত্যা শুরু করে, তখন সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। সেই ইচ্ছায় পারদ ঢেলে দেয় ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। ২৫ মার্চ নিরপরাধ বাঙালির ওপর পাকিস্তানিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা শুরু করলে ইপিআর থেকে পালিয়ে বরিশালে এসে যোগ দেন বেলস পার্কে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। সেখানে ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল আনোয়ার হোসেনকে দেখে সাদরে গ্রহণ করেন এবং নতুন যোদ্ধাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেন তাকে।

কথা হয় আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল ও মুজিব বাহিনীর প্রধান আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ যেদিন ভারতে যাচ্ছিলেন, সেদিন তাদের সঙ্গে আমতলা মোড়ে আমার দেখা হয়। এ সময় তিনি নলছিটি, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল সদর থানার দায়িত্ব দেন আমাকে। তারা চলে যাওয়ার পর ১৮ জন যোদ্ধা নিয়ে আমি নলছিটির দপদপিয়ায় ঘাঁটি স্থাপন করি। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ শেষ করা এক শ মুক্তিযোদ্ধা আমার কাছে পাঠান মেজর এম এ জলিল। আর গ্রামবাসী ছিলেন ৫০ জনের মতো। তাদের সবাইকে নিয়ে বরিশালের মোট ৮টি থানা এলাকায় পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি।

.

আমি পাকিস্তানিদের লঞ্চে হামলা, বাঙালিদের বাড়িঘর লুটকারীদের খতম করেছি। এ ছাড়া চাচৈর, বরিশাল, নলছিটি, পটুয়াখালীর লেবুখালী, ঘোপেরহাট যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছি। ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান বেগের নেতৃত্বে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্দেশে বরিশাল শহরের ওয়াপদায় (টর্চার সেল) পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করাই। যুদ্ধে আমি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছি।

যেসব গ্রামবাসী ১৯৭১ সালে আমার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের জন্য আমি কিছুই করতে পারিনি। বড় আফসোস লাগে। সেই গ্রামবাসীরা এখনো আমাকে দেখলে বলেন, আনোয়ার ভাই আমাদের জন্য কিছুই করতে পারেননি। কী বলব তাদের? আমার নিজেরই তো কিছুই হয়নি।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কিছু পাইনি। পেয়েছি শুধু অবহেলা, অবনতি, কারাবরণ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল দেশব্যাপী। খন্দকার মোশতাকের সৈন্যবাহিনী এই গ্রেফতার অভিযান চালায়। সেই অভিযানে আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, আমার বাসায় অস্ত্র রয়েছে। তারা শুধু আমাকেই গ্রেফতার করেনি, ঘরে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতিস্বরূপ যত প্রমাণাদি, কাগজপত্র ও সনদ ছিল, তা পুড়িয়ে ফেলে। এখন শুধু বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরযুক্ত একটি বীরত্বসূচক সনদ রয়েছে।

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ওই অস্ত্র মামলায় আমার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। বরিশাল থেকে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে জল্লাদের দায়িত্ব পালন করে সাজা মওকুফ করে ১৮ মাস কারাবরণ শেষে মুক্তি পাই।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘শাব্বাশ টাইগার’
‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলে সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান। আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করি। মেজর জলিল বঙ্গবন্ধুকে আমার সম্পর্কে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু, এই আনোয়ার পাকিস্তানি সৈন্যদের রক্ত-মাংস-কলিজা খাওয়া মুক্তিযোদ্ধা। তখন বঙ্গবন্ধু আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘শাব্বাশ, বাংলার টাইগার।’ আমি বঙ্গবন্ধুকে বলেছি, ‘আমি যখন শুনেছি গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান কারাগারে আপনার সেলের পাশে কবর খোঁড়া হয়েছে, তখন আমি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায়। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, পাকিস্তানি সেনাদের রক্ত-মাংস-কলিজা আমি খাব। ঠিকই নিজ হাতে পাকিস্তানি মিলিটারি খতম করে আমি তাদের রক্ত-মাংস-কলিজা খেয়েছি।’ বলেন আনোয়ার হোসেন।

অবহেলিত সমাজেও
আমার সঙ্গে যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদের সবার স্বীকৃতি হয়ে গেছে। কিন্তু আমার কোনো স্বীকৃতি নেই। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারদের কাছে গিয়েছিলাম। তারা আমার কাছে টাকা দাবি করেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কয়েকজন কমান্ডারের পেছনে। শেখ কুতুব উদ্দীন ও মোকলেসুর রহমান নামে দুজন টাকা নিয়েছেন বলে জানান তিনি। যদিও দুজন কামান্ডারই মারা গেছেন, সে জন্য তাদের ওপর কোনো ক্ষোভ নেই তার। এর মধ্যে মোকলেসুর রহমান একবার মুক্তিযোদ্ধার ব্যাচ পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, টাকা দাও। তোমার স্বীকৃতি প্রথম হবে। তখন এলাকাবাসী ও আত্মীস্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে ৬০ হাজার টাকা দেন মোকলেসুর রহমানকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সেভেনআপ, কলা ও চিংড়ি মাছ কিনে দিতে হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার তো সেই টাকা পরিশোধ করার সামথ্য নেই। কারণ নিজের সংসার চালাই বাসস্ট্যান্ডে মধু বিক্রি করে। ফলে যেসব মানুষের কাছ থেকে টাকা ঋণ করেছিলাম, তাদের ভয়ে এলাকায় যেতে পারি না। মানুষকে মুখ দেখাতে পারি না। অভাবের তাড়নায় আলেকান্দার আমতলা এলাকার জন্মভিটা বিক্রি করে দিয়ে এখন ২৪ নং ওয়ার্ডের রূপাতলী হাউজিং সংলগ্ন মামুন খানের জমিতে একটি টিনের ঘরে মাসিক তিন হাজার টাকা ভাড়ায় বসবাস করছি। তাও তিন মাসের ভাড়া বকেয়া রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি খুব বেকায়দায় আছি। ৮ মাস ধরে শরীর ভীষণ খারাপ। নিয়মিত বাসস্ট্যান্ডে মধু নিয়েও যেতে পারি না। স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে যে টাকা পান, সেই টাকায় কোনো রকমে চলছে। তবে গরিবি হালে থাকলেও জীবনের শেষ ইচ্ছা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটুকু চাই। এ জন্য কয়েক দিন আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আবেদনও করেছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী এলাচী বেগম বলেন, আমাদের সংসার আল্লাহ চালান। তিনি বাসস্ট্যান্ডে মধু বিক্রি করে যা পান আর আমি অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে যা পাই, তা দিয়েই চলছে। ছেলেমেয়রা যখন ছোট, তখন থেকেই তিনি মধু বিক্রি করে সংসার চালাতেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারিনি অভাবের কারণে। আমার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু কোনো স্বীকৃতি নাই। এসব দেখে খারাপ লাগে। কিন্তু করার কিছু নেই। আমি নিজেও লেখাপড়া জানি না, আমার ছেলেমেয়েরাও জানে না। কার কাছে যাব, কাকে অনুরোধ করব কিছুই বুঝি না।

এলাকাবাসীর কাছে তিনি রণাঙ্গনের বীর
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এলাকার অধিকাংশ মানুষের কাছে জেনেছি আনোয়ার হোসেন মুক্তিযোদ্ধা। তাকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই চিনি। স্বীকৃতির জন্য যার কাছে কাগজপত্র দিয়েছেন কিন্তু যার কাছে কাগজপত্র দিয়েছেন তিনি তা জমা দেননি। আরেক বাসিন্দা ফিরোজ খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমরা আনোয়ার হোসেনের পিছনে পিছনে দৌঁড়েছি। তিনি বড় একটি অস্ত্র কাঁধে ঝুঁলিয়ে এলাকায় ঘুরতেন। অনেক ডাকাতকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হলেও স্বচক্ষে দেখা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় আমাদের কাছে খুব খারাপ লাগে।

রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডের ফল ব্যবসায়ী ফিরাজ হাওলাদার বলেন, ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এখানে নিয়মিত ফেরি করে মধু বিক্রি করেন আনোয়ার হোসেন। শুনেছি তিনি মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা হলে তাকে মধু বিক্রি করতে হবে কেন? সরকারের উচিত তাকে সহযোগিতা করবে। এভাবে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে অবমূল্যায়ন করা অন্যায়।

সহযোদ্ধাদের চোখে আনোয়ার
৯ নম্বর সেক্টরের নৌ-কমান্ডার সৈয়দ আবুল বাশার বলেন, এটি খুবই লজ্জার বিষয় আমাদের জন্য। মুক্তিযুদ্ধ না করেও বরিশাল জেলায় ৮০ জন ভুয়া লোক মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ আনোয়ার হোসেনের মতো মুক্তিপাগল একজন যোদ্ধার আজও স্বীকৃতি হলো না। আনোয়ার হোসেন বরিশাল কোতোয়ালির কমান্ডার আব্দুল মান্নানের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। একবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী হিরু মল্লিক পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করছে তথ্য পেয়ে আনোয়ার হোসেনকে পাঠাই হিরু মল্লিককে হত্যা করার জন্য। আনোয়ার হিরুর বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল।

সৈয়দ আবুল বাশার বলেন, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা বাছাই বোর্ডে আমি ছিলাম। তখন আনোয়ার হোসেনের নাম নির্বাচন করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জানতে পারি তৎকালীন কমান্ডারদের টাকা না দেওয়ায় আনোয়ার হোসেনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তখন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন শেখ কুতুব উদ্দীন ও মোকলেসুর রহমান।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আনোয়ার হোসেন মুক্তিযুদ্ধ করেছে। সে দেশের স্বাধীনতার জন্য উদগ্রীব থাকত। একজন মরিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিল। মাঝেমধ্যে আমি যখন আমার গ্রামের বাড়ি যাই তখন তাকে দেখি বাসস্ট্যান্ডে মধু বিক্রি করে। এসব দেখে খুব খারাপ লাগে, লজ্জা লাগে আমার।

বরিশালের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার উপপরিচালক (ডিডিএলজি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা এভাবে জীবন যাপন করছেন, তা আমার জানা নেই। তিনি জেলা প্রশাসনে আবেদন করেছেন কি না জানি না। তবে আপনার মাধ্যমে জানতে পেরে আমি রূপাতলীতে খোঁজখবর নেব। তাকে সরকারি নিয়ম অনুসারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।  সূত্র: ঢাকা পোষ্ট