অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শহীদ জিয়ার নাম মানুষের হৃদয়ে গাথা থাকবে: ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তিনি এদেশের উন্নয়নের জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে গেছেন। বাংলাদেশের আত্মসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভিত্তিক কর্মসূচী গ্রহণ করে তিনি ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। শহীদ জিয়ার খালকাটা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছিল। শহীদ জিয়া নানা সংকটে ও বিধ্বস্ত “তলাবিহীন জুড়ি” আখ্যাপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন। সার্কের স্বপ্নদষ্টা এই মহান নেতা জীবন যাপন করতেন খুব সাধারণভাবে। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে শহীদ জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে ততদিন শহীদ জিয়ার নাম মানুষের হৃদয়ে গাথা থাকবে।

তিনি বুধবার (১৯ জানুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির প্রতিষ্টাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দুপুরে ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বিকালে আলোচনা সভা শেষে অসহায় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মহানগর জাসাসের নব গঠিত আহবায়ক কমিটির উদ্যোগ শহীদ জিয়ার জীবনী নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করছি যখন দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। যেখানে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বশবর্তী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার। তাই এই স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত হতে হলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে এগিয়ে এসে দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকারের স্বপ্ন আজও বাস্তবায়ন হয়নি। দেশে আজ নব্য স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয়েছে, দেশ আজ লুটেরার হতে জিম্মি। অবৈধ ক্ষমতার মসনদ দীর্ঘায়িত করতে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। আজ বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে হত্যার ষড়যেন্ত্র লিপ্ত সরকার।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা গণতন্ত্র পেয়েছিলাম ৷ দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু সেই গণতন্ত্র ও অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত৷ স্বাধনীতার ঘোষকের স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ চিকিৎসা পচ্ছেনা। দেশে আজ ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। বিএনপি দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্রের আন্দোলন করছে৷ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। এই পরিস্থিতি থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই। তাই জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে৷

মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ হোসেন ডেপটী, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দীন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর মহিলাদলের জেলী চৌধুরী, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম প্রমূখ।