অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৪ দফা দাবীতে বিএসইসিকে স্বারলিপি দিল ইনভেস্টর’স ফোরাম অব চিটাগাং

0
.

সিডিবিএলে সর্বস্তরের বিনিয়োগকারীদের বিও একাউন্টের নিরাপত্তা বিধান, গণহারে আইপিও অনুমোদন না দেওয়া ও বন্ধ থাকা লোন একাউন্টে শেয়ার বেচাকেনার সুযোগ প্রদান সহ চার দফা দাবি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ইনভেস্টর’স ফোরাম অব চিটাগাং।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে এ স্বারকলিপি দেয়া হয়।

স্বারকলিপিতে বলা হয়, আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে লক্ষ্য করছি সৎ সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতাকে ক্ষুদ্র স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে কয়েকজন বিনিয়োগকারীদের সিডিবিএলে থাকা শেয়ার ও শেয়ারের সংখ্যা হুবুহু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এটি কেবল আইনের পরিপন্থি নয় বরং পুঁজিবাজারের ছোট-বড়, দেশী-বিদেশী সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য আতঙ্কিত হওয়ার মতো দুঃসংবাদ। কারণ বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের নিরাপত্তা দিতে না পারলে ছোট-বড় যেকোন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে সাহস পাবে না। উপরোক্ত ঘটনায় সিডিবিএলের যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

ফোরামের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে-ঘন ঘন আইপিও’র (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) অনুমোদন না দেওয়া, নেগেটিভ ইক্যুইটির মার্জিন অ্যাকাউন্টে লেনদেন করার সুযোগ দেওয়া এবং বিনিয়োগকারীদের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা।

মার্জিন ঋণের সুদ হার কমানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, সামগ্রিকভাবে সরকার ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু মার্জিন ঋণের জন্য পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরকে এখনো ১৫ শতাংশের বেশি হারে সুদ গুণতে হয়। তাই এই ঋণের সুদের হার কমানো খুবই জরুরি।

সেকেন্ডারী মার্কেটে আবেদনকারীদের সবাই আইপিওর শেয়ার পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করলেও প্রতি মাসে গণহারে আইপিও অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বর্তমান বিকাশমান পুঁজিবাজারের জন্য ঝুকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। এমতাবস্থায় নতুন আইপিও অনুমোদনে আরো কঠোর হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

পুঁজিবাজারে ২০১০ এর ধ্বসের পর লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাদের অনেকের লোন একাউন্ট বর্তমানে অচল করে রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী উক্ত একাউন্টের শেয়ার বেচাকেনা করতে পারছে না। বন্ধ থাকা এ সমস্ত একাউন্টে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন করার সুযোগ দানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

বর্তমান সরকার ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনতে অনেকটা সক্ষম হলেও আমরা দেখছি পুজিঁবাজারে লোন একাউন্টগুলোতে সুদের হার ১৫% এর উর্ধ্বে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সুদের হার আরও কমানেরা জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের আহবায়ক আছলাম মোরশেদ, যুগ্ন আহবায়ক এম এ কাদের, খোরশেদ আলম মিলন, সদস্য সচিব রানা বিশ্বাস, ও সদস্য মো. ইদ্রিস।