অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভারত সহ দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায়- বাণিজ্য মন্ত্রী

0
.

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন ভারত সহ দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এই জন্য চট্টগ্রামকে আধুনিক, সুন্দর ও উন্নতমানের করে গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যে বর্তমানে টানেল নির্মান, বে-টার্মিনাল, মিরশরাই ইকুনোমিক জোন সহ বিভিন্ন বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে চট্টগ্রামে।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বারের ২৮তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন-বাণিজ্যে বসতি হল লক্ষি, আর সেই লক্ষি হল চট্টগ্রাম। তাই বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যবসায়ীদের জন্য সেন্ট্রাল পয়েন্ট। চীনের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হল বেইজিং কিন্তু ব্যবসায়িক নগরী সাংহাই। তাই চট্টগ্রাম হল ব্যবসার কেন্দ্র বিন্দু।

তিনি আরো বলেন পাকিস্তান আমলে বাঙ্গালীরা ব্যবসার ধারে কাছে ছিলনা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আজকে ব্যবসা বাণিজ্যে করে সফল হচ্ছে। তিনি বলেন আগামী প্রজন্মকে যতার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে আমরা বৈদেশিক অর্থ আনতে পারব। মন্ত্রী আরো বলেন কেহ অনেক টাকা কামাই করবে আবার কেউ কামাই করতে পারবেনা তা হতে দেয়া হবেনা। ব্যবসা বাণিজ্যে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিৎ করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি ও মজুদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। রমজান মাসে যাতে ভোগ্যপণ্য নিয়ে মানুষ ভোগান্তিতে না পড়েন। সেজন্য খাতুন গঞ্জের ব্যবসায়ীদেরকে সেদিকে বিশেষ নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর। দেশে সব থেকে বেশি জিডিপি গ্রোথ ছিল ১৯৭৫ সালে। দেশের উদীয়মান অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার।

ফাহিম বলেন, করোনা ভাইরাস সাপ্লাই চেনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। আশাকরি বড় প্রভাব পড়বে না। সাময়িকভাবে ব্যবসায়ীর পেমেন্টে দেরি হলে যাতে অসুবিধা না হয় সে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানুষের মধ্যে যাতে এ ভাইরাস নিয়ে পেনিক সৃষ্টি না হয়।

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেলা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ জামাল আহমেদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান । অনুষ্টানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক নুরুন নেওয়াজ সেলিম, বিজেএমইএর সহ-সভাপতি এম এম সালাম, চেম্বার পরিচালক আবু তৈয়ব ও চট্টগ্রাম উইম্যান্স চেম্বারের আবিদা আলী।

চেম্বার আয়োজিত এবারের মেলায় ৪ লাখ বর্গফুটজুড়ে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, প্রোটন, প্রাণ, আরএফএল, মি. নুডলস, ইস্পাহানী, পেডরোলো, হাতিল, নাভানা, নাদিয়া, আখতার, নাদিয়া, নিউ এনটিক ফার্নিচার, ইজি বিল্ড, ফরেন প্যাভিলিয়ন, ফরেন জোন, থাই প্যাভিলিয়ন, পুনাক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, প্যান্ডা আইসক্রিম, বেঙ্গল প্লাস্টিক, কিয়াম, বিআরবিসহ ৪৭০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে ৪ শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

মেলার প্রবেশ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা। প্লে থেকে সপ্তম শ্রেণির ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে টিকিট দেওয়া হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।